কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় দুই ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। রোববার (৫ এপ্রিল) রাতে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, রোববার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার ২টি ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে ৩ ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে ডাংরারহাট বাজারে আসেন। এরপর তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দোকানপাট কেন খোলা রাখা হয়েছে বলে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
এরই সুযোগে ওই প্রতারকরা বাজারের জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যবসায়ীর ওষুধ ও বিকাশের দোকানে যান। এ সময় দোকানে জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ফিরোজ ছিলেন। তারা ফিরোজের নামে অভিযোগ আছে বলে তাকে দোকানের সব টাকা নিয়ে থানায় যেতে বলেন। এরপর প্রায় ৩ লাখ টাকাসহ ফিরোজকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান।
এ সময় প্রতারক চক্রের চলাফেরা ও আচরণ দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় এক যুবক মোবাইল ফোনে থানার অফিসার ইনচার্জকে ঘটনাটি অবহিত করেন। তিনি তাদের আটকের জন্য বললে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের একই উপজেলার বাছড়া বাজারে পৌঁছালে মোটরসাইকেল তুলে নেয়া ফিরোজ বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় টাকা নিয়ে তাকে সেখানে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন প্রতারকরা। তখন মোটরসাইকেলসহ ২ প্রতারককে আটক করে গণপিটুনি দেন এলাকাবাসী। প্রতারকদের একজন পালিয়ে যান।
আটক রিপন সরকার একই উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ব্যাপারীর ছেলে এবং আতাউর রহমান আপেল একই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে। পালিয়ে যাওয়া মেহেদী হাসান শিলু একই গ্রামের হামিদ মণ্ডলের ছেলে। আর মোটরসাইকেলটির মালিক জনৈক রাজা মিয়া এ প্রতারক চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার জানান, সোমবার (৬ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এখন গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া টাকাগুলো উদ্ধার এবং অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।